প্রচ্ছদ » সম্পাদকীয় » বিস্তারিত
মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বয়ান
প্রজার সুখেই রাজার সুখ
২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২০ ০০:৩০:১৫কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রজার সুখেই রাজার সুখ। শেখ হাসিনা প্রজার সুখেই সুখ পান। দেশে আরও সরকার ছিল, তারা কেউই প্রজার সুখের দিকে তাকাননি।
বুধবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপার ইউনিয়নের কলসপার নাঈমী দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে মসজিদের ইমামদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের কম্বল বিতরণকালে এক সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
নিজের সরকার এবং সরকারপ্রধান সম্পর্কে মতিয়া চৌধুরীর এ মূল্যায়ন প্রচলিত রাজনৈতিক ধারারই প্রকাশ, এখনকার মন্ত্রী-এমপিরা হরহামেশাই এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু মতিয়া চৌধুরীর মতো একজন রাজনৈতিক নেত্রী-যিনি মেহনতি মানুষের পক্ষে রাজনীতি করে এসেছেন, যিনি রাজনীতিতে আধুনিক চিন্তার একজন ধারক হিসেবে সর্বমহলে বিবেচিত, যিনি রাজনীতির সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বোঝেন, যিনি আধুনিক সমাজে জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব বলতে কি বোঝায় তা ভালোভাবেই জানেন, যিনি জানেন বর্তমান সমাজে সরকার এবং জনগণের সম্পর্ক সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার আলোকে নির্ধারিত নয়, এখানে কেউ রাজা বা কেউ প্রজা নয়। এই মতিয়া চৌধুরী যখন নিজের সরকারপ্রধানকে রাজা এবং দেশের জনগণকে প্রজা হিসেবে আখ্যা দেন মনে হয় তখন নিজের মরমে তিনি সামন্তবাদী চিন্তাকেই এতকাল ধরে ধারণ করে আছেন। নিজেকে তিনি রাজার জায়গায় দেখেন না প্রজার চোখে দেখেন, সে প্রশ্ন না তুলেই বলা যায়, তারা গণতান্ত্রিক সমাজের কথা বলেন কিন্তু মর্মে এবং চর্চায় তা ধারণ করেন না। মনের গভীরে রাখা সেই চিন্তাই মনের অজান্তে মাঝে মাঝেই প্রকাশ পায় মাত্র। আমাদের রাজনীতিতে এই দ্বিচারিতা দূর না করা গেলে সমাজকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজে রূপান্তর করা যাবে না।