প্রচ্ছদ » প্রবাস কথা » বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

২০২২ মে ১৫ ১০:৪৩:৪৭
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বাফেলো শহরে বন্দুক হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ মে) বিকেলে বাফেলো সুপার মার্কেটে অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটা। হঠাৎ গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নিউইয়র্কের বাফেলো সুপার মাকের্ট। বন্দুক হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ১০ জন। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও তিজন।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল নিজ এলাকায় এ বন্দুক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘বাফেলো সুপার মার্কেটে গুলির ঘটনা আমি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছি। আপনি যদি বাফেলোতে থাকেন, অনুগ্রহ করে এলাকাটি এড়িয়ে চলুন এবং আইন প্রয়োগকারী ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংবাদ সম্মেলন করেন বাফেলো সিটির মেয়র বায়রন ব্রাউন। তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ১০ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান করছে। সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আমরা তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’

বন্দুক হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। পুলিশ জানায়, হামলাকারী তাদের হেফাজতে রয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন কমিউনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বাফেলো সিটির কমন কাউন্সিল অ্যাসিসট্যান্ট সাহী চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে স্থানীয় পুলিশ ও কর্মকর্তাদের সহায়তা করছি। বাংলাদেশিসহ সবাইকে ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলার অনুরোধ করছি।’

স্থানীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার ইমন সিদ্দিকী বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকে আমি মাঠে খেলার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি, এমন সময় গুলির শব্দ পাই। পরে একের পর এক পুলিশের গাড়ি আসতে দেখি। পুরো এলাকা তারা ঘিরে ফেলেছে।’

ইকবাল হায়দার চৌধুরী থাকেন নিউইয়র্ক সিটিতে। তিনি বাফেলোতে বেড়াতে এসেছেন। জানতে চাইলে তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই বাফেলোতে বেড়াতে আসি। এখানে এখন অনেক বাংলাদেশি বসবাস করেন। আজ বেড়াতে এসে এমন ঘটনার সম্মুখীন হব, ভাবতে পারিনি।’

বাফেলোর ডাউনটাউন থেকে তিন মাইল উত্তরে যে সুপার মার্কেটে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বেশির ভাগ কৃষ্ণাঙ্গের বসবাস। তবে পুরো বাফেলো সিটিতে অবশ্য প্রচুরসংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন। তাদের মধ্যে এখন বন্দুক হামলার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বন্দুক হামলার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে একটি মারাত্মক সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে, যা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ জন্য দরকার কঠোর আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৫ মে, ২০২২)