প্রচ্ছদ » জেলার খবর » বিস্তারিত

সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিক বর্জ্য: বিপরিতমুখী বক্তব্য

সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে

২০২৪ নভেম্বর ২২ ০৯:০০:২০
সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে

হাসান আরিফ, সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে:সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও দ্বীপের বাসিন্দা ছাড়া সেখানে কেউ বেড়াতে যেতে পারছেন না। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন তবে থাকতে পারবেন না এমন ঘোষণা থাকলেও দ্বীপ ভ্রমণের সব ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। দ্বীপটির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন তাদের আত্মীয় স্বজনরাও বেড়াতে যেতে পারছেন না। এমন কি যেসব পুরুষ দ্বীপের বাইরে বিয়ে করেছেন তাদের মধ্যে যাদের স্ত্রীরা নিষেধাজ্ঞা আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন তারাও আর দ্বীপে ফিরতে পারছেন না। ফলে নিজ সংসারে ফিরতে না পারায় তাদের বিচ্ছিন্ন জীবন কাটাতে হচ্ছে।

পর্যটন ব্যবসায়ী এবং দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এমন কড়াকড়ি কখনোই ছিল না যেটি গুজব সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে দ্বীপবাসী তেমন কোন আলামত দেখেননি। যদিও পর্যটন শুরু করা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে সবার মধ্যে। আর পর্যটন শুরু না হলে দ্বীপের প্রথম আদিবাসী ১৩ পরিবারের মতো সবাইতে বাধ্য হয়ে জেলে পেশায় ফিরে যেতে হবে। যা তারা প্রত্যাশা করেন না। আর ঘটনাক্রমে তাই হলে তাদের সন্তানদের শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হবে বলে জানিয়েছেন দ্বীপবাসী।

সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বাধা থাকার কথা নয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে বেড়াতে যাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদেরকেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। ট্রলার উঠা থেকে নামা পর্যন্ত চারবার তল্লাসীর মুখমুখি হতে হয়। এমনকি নভেম্বরের ১৩ তারিখে সেন্টমার্টিন যেতে এই প্রতিবেদককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে কোস্টগার্ডকে জানিয়ে যেতে হয়েছে। ট্রলার থাকা অবস্থায় অন্তত দুই বার নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে হয়েছে বিজিবি এবং কোস্টগার্ডকে।

সেন্টমার্টিনে পর্যটন আদৌ চালু করা সম্ভব হবে কি না সেটিও নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। যাতায়াতের জন্য এখনো সেন্টমার্টিন রূটে পর্যটকবাহী একটিও জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ। বিশেষ প্রয়োজনে স্পিডবোটের দরকার হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি কোস্টগার্ডকে দেখালে অনুমতি দেয়া হয়। যাত্রীবাহী ট্রলার বা সার্ভিস বোট চলাচল করলেও ভ্রমণ করতে লিখিত অনুমতি লাগছে। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ছাড়া কাউকে ভ্রমণ করতে দেয়া হচ্ছে না। দ্বীপের অধিবাসী কিনা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ট্রলারের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। দফায় দফায় কোস্টগার্ড যাত্রীদের এনআইডি যাচাই করছে।

ভ্রমণে যত বাধা

নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যেতে বাধা নেই এমন ধারণা থেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে কক্সবাজার সৈকত ছাড়াও সেন্টমার্টিন ঘুরে দেখার পরিকল্পনা অনেকে আসছেন। কিন্তু অদৃশ্য বাধার কারণে তা ভ্রমণ করা যাচ্ছে না।


সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমরা হতাশার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি। সরকারের নভেম্বর মাসে পর্যটন চালু আছে ঘোষণা, বাস্তবতার সাথে মিল নাই। টেকনাফ থেকে জাহাজ দিনে গিয়ে দিনে আসা সম্ভব ছিল। কক্সবাজার থেকে কোনোভাবেই দিনে গিয়ে দিনে আসা সম্ভব না। ইনানী থেকে চার ঘণ্টায় সেন্টমার্টিন যাওয়া সম্ভব। তবে ক্ষতিগ্রস্ত জেটি সংস্কার হওয়ার কথা আছে সেটি ঠিক হবে কি না বলা যাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন ভ্রমণের দ্রুতগামী যাতায়াদের আরেকটি ব্যবস্থা হলো স্পিডবোটে চলাচল। নিরাপত্তার বিবেচনা থেকে স্পিডবোট চলাচলও এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া স্পিডবোট চালানোর অনুমতি দেয়া হয় না।

সেন্টমার্টিনে যাবার একমাত্র যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে সেটি হলো টেকনাফ থেকে সার্ভিস বোট বা ট্রলার। রোমাঞ্চপ্রিয় তরুণদের অনেকেই ট্রলারে চড়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করতে পছন্দ করেন কিন্তু পর্যটদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সেই সুযোগ নেই। বরঞ্চ ট্রলারে ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা অথবা প্রশাসনের লিখিত অনুমতি ছাড়া ট্রলারের টিকিট দেয়া হয় না বলে স্পষ্ট জানান টেকনাফ ট্রলার ঘাটের একজন লাইনম্যান।


অন্যদিকে ভ্রমণের জন্য কোনো অনুমোদন দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলা পরিষদে একাধিক দেয়ালে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে ২২শে অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে কোনো অনুমতি দিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরীর বলেন, পর্যটন পারপাসে এখন অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এখন এনজিও কর্মী, গবেষণার কাজে কিংবা সংবাদ সংগ্রহের মতো জরুরি প্রয়োজনে যারা যায় তাদেরকেই কেবল অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন গিয়েও কোস্টগার্ডের চেকপোস্ট রয়েছে। সেখানে অনুমতি পত্রের অনুলিপি জমা দিতে হয় এবং নাম পরিচয় লিপিবদ্ধ করে দ্বীপে প্রবেশ করতে হয়। সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এস এম রাশাদ হায়দার বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ভ্রমণ করতে কেউ সেন্টমার্টিন যাতে না আসতে পারে সেজন্য তারা মনিটরিং করছেন। কেউ যদি সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলে আসে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। সমন্বয় সাধন করেই যাওয়া আসাটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখানে যাদের অনুমতি আছে তাদের আসতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু ভ্রমণটা যেহেতু এখনও নিষিদ্ধ, তাই পর্যটক প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভ্রমণ শুরু হলে তারাও আসতে পারবেন।

পর্যটক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি গঠন

এদিকে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সভায় সেন্টমার্টিনের বিষয়ে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসমা শাহীন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করে।

এনআইডি ও লিখিত অনুমতি : সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বাধা থাকার কথা নয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে বেড়াতে যাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে হচ্ছে।


সেন্টমার্টিনজুড়ে ক্ষোভ অসন্তোষ

সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকান-পাট, পর্যটনকে ঘিরে নির্মিত হোটেল রেস্তোরা সব বন্ধ। দ্বীপ ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ কটেজ, হোটেল রিসোর্ট পর্যটনের জন্য প্রস্তুত নয়। সবগুলোই বন্ধ। ভ্রমণে এই কড়াকড়ি নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন দ্বীপের স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী এবং বাইরে থেকে যাওয়া বিনিয়োগকারীরা।
বাইরে থেকে যারা পর্যটন খাতে দ্বীপে বিনিয়োগ করেছেন তারা পড়েছেন মারাত্মক বিড়ম্বনায়। পর্যটনের প্রস্তুতি, সেবা দেয়ার জন্য স্টাফ আনারও সুযোগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি তারাও দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না। ফলে নিজের বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠান দেখার সুযোগ নেই তাদের।

তবে এই প্রতিবেদকের চোখে ধরা পরেছে রোহিঙ্গাদের। যারা অবৈধ ভাবে দ্বীপে প্রবেশ করে মজুরের কাজ করছেন। এসব রোহিঙ্গা কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় দালালদের মাধ্যমে প্রবেশ করেছেন।
এছাড়া সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৈনিক দুই হাজার করে পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন যার প্রতিবাদে নিয়মিত বিক্ষোভ আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি চলছে সেন্টমার্টিনে। এখন দ্বীপের বাইরে কক্সবাজারেও আন্দোলন করছেন তারা। ১৯ নভেম্বর কক্সবাজারে এক বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন করে দ্বীপের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসীন্দারা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সেন্টমার্টিনে দ্বীপের দশ হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা এবং পরিবেশ দুটোই সমান গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আন্দোলনের নেতা এবং স্থানীয় রিসোর্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দোকানের মালামাল কিনে আনতেও কোস্টগার্ডের অনুমোদন লাগছে। তিনি বলেন, “সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন দেশ, আমি যদি এখান থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে পারলে, আমার সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের অংশ হইয়া স্বাধীনভাবে আমার বাংলাদেশের লোকজন আসতে পারবে না কেন।

দ্বীপের একজন বাসিন্দা বলেন, বেলার বেটি (পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান) তাদের এই সমস্যায় ফেলেছে। নয়তো তারা পর্যটন মৌসুমের আয় দিয়ে সারা বছর ভালভাবেই তাদের সংসার চালাতে পারতেন।
দ্বীপের একজন বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসে সেন্টমার্টিনের উপর দিছে নিয়ম নীতি নিষেধাজ্ঞা। তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথার সাথে বর্তমান সরকারের কাজ মিলে যাচ্ছে। এদিক থেকে দ্বীপের মানুষের মধ্যেতো অবশ্যই আতঙ্ক কাজ করবে।

সরকারের বক্তব্য

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রবাল দ্বীপের পরিবেশ জীব বৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, একচল্লিশ ভাগ প্রবাল ক্ষয় হয়ে গেছে এটা হচ্ছে জাতীয় পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক সকল গ্রহণযোগ্য জার্নালে বলা হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫ সালের মধ্যে সকল কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপটা ডুবে যাবে তখন তাহলে পর্যটনটা থাকবে কোথায়?
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনটা বাঁচাবো একই সাথে পর্যটনটাও বাঁচাতে হবে। পর্যটনটা আমরা কিন্তু নিষেধ করিনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দ্বীপটির পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করেন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এসব কারণে দ্বীপটির প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী এবং জীববৈচিত্র্য এখন বিলুপ্তর পথে।
সেন্টমার্টিনে যেকোনো ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো উপেক্ষা করেই সেখানে গড়ে উঠছে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল।
প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে থাকা দ্বীপটি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সরকার পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা- ইসিএ ঘোষণা করেছিল।

দ্বীপের একমাত্র হাসপাতাল

বিচ্ছিন্ন দ্বীপের একমাত্র হাসপাতালে সংকটের বিষয়টিও সামনে এনেছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে জরুরি চিকিৎসা সেবা বলতে গেলে কিছুই পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। কারণ গত কয়েক মাস ধরে ২০ সজ্জার হাসপাতালে কোনো ডাক্তার নার্স, মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই।
জরুরি চিকিৎসা সেবা সংকট, ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলোর কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে সন্দেহ অবিশ্বাস এবং গুজবের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন দ্বীপবাসী।

সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিক বর্জ্য

ভরা মৌসুমে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কেজি একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলেন বলে জানিয়েছে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অলাভজনক সংস্থা দ্য আর্থ।

দ্য আর্থের তথ্যানুসারে, অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পর্যটক দ্বিপটিতে ঘুরতে যান, কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভরা মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক সওদাগর বলেন, দ্বীপ থেকে পরিবেশের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। দ্বীপের পরিবেশের যা ক্ষতি হচ্ছে মূল ভূমি থেকে। কারণে সেখান থেকে যেসব বর্জ্য ফেলা হয় তা ভেসে ভেসে দ্বীপে এসে জড়ো হচ্ছে।