প্রচ্ছদ » অপরাধ ও আইন » বিস্তারিত
"শিশু ধর্ষণের বিচারে সোমবারের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল"
২০২৫ মার্চ ১৩ ১৭:৩১:৩৩
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনাগুলোর দ্রুত উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করার জন্য আগামী রোববার থেকে সোমবারের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, গত দুই দিন আমরা একটি কথা বলেছি, নতুন আইন করছি। প্রাথমিক খসড়া হয়েছে। অনেক স্টেকহোল্ডার (অংশীদার) আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। আশা করছি, এই আগামী রোববার বা খুব বেশি দেরি হলে সোমবার আমরা নতুন আইন প্রণয়ন করে ফেলব।
তিনি বলেন, নতুন আইনের বিধানগুলো সম্পর্কে আমি বলেছি। এর সঙ্গে একটি জিনিস যোগ করতে চাই। সেটি হলো নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের অধীনে শুধু মাত্র শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনাগুলোর দ্রুত উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে যাচ্ছি। এই বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিধান থাকবে। এর কাজ হবে শুধুমাত্র শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনার বিচার দ্রুত করা। এতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মনোযোগ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ ব্যক্তিপর্যায়ের অপরাধের ঘটনা। কিন্তু এখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, এখানে আমাদের বিন্দুমাত্র অবহেলা নেই। আপনারা দেখেছেন, এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরের দিনই ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাগুরার ওই শিশুর ধর্ষণের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে কি না, জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচার শুরু হয়ে যাবে। এরমধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করা হবে অন্যান্য ধর্ষণের দ্রুত বিচারের জন্য। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হতে হতে ওই শিশুর ধর্ষণের বিচার শুরু হয়ে যাবে। এই বিচার নিরবচ্ছিন্ন শুনানির মাধ্যমে হবে দেখে এখানে আর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজন হবে না।
আগের যেসব ধর্ষণ মামলা আছে, সেসব এই বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের শুধু এটুকু বলতে চাচ্ছি, শুধুমাত্র শিশুদের ধর্ষণের মামলার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে। সেখানে কোর্ট গঠন করলাম একটি, আবার অন্য মামলাগুলোও যদি এখানে দিই, তাহলে তো দেরি হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।
রোববারই কি নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিচারক যদি মনে করেন, তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ ও তদন্ত চালাতে পারবেন- অনলাইনে, জামিন উঠিয়ে দিলাম। একইসঙ্গে শিশু ধর্ষণের বিচারের জন্য ডেডিকেটেড যে ট্রাইব্যুনাল, সেটিও নারী শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনের মাধ্যমে রোববার বা সোমবার হবে।