প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » বিস্তারিত
দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স এলো মে মাসে
২০২৫ জুন ০১ ২০:৫১:৪২-683c6670dacd2.jpg)
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:আসন্ন কুরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) গতিপ্রবাহ। সদ্য সমাপ্ত মে মাসে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে। যার পরিমাণ ২৯৭ কোটি বা ২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিবরণী থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কমেছে অর্থপাচার ও হুন্ডির দৌরাত্ম্য। বেড়েছে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ। ফলে দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্স আসায় একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত মে মাসেও রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
গত মে মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১১৬৯ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল গত এপ্রিল মাসে, সে রেকর্ড ভেঙে দিল সদ্য বিদায়ী মে মাস। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড হয় গত মার্চ মাসে। সে মাসে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতি মাসেই দুই বিলিয়ন ছাড়াচ্ছে রেমিট্যান্স। এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে (প্রথম ১১ মাসে) মোট ২ হাজার ৭৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) এসেছিল ২ হাজার ১৩৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৬.১৩ বিলিয়ন ডলার বা ৬১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বেশি এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের পুরো সময়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত মাস এপ্রিলের চেয়ে ২২ কোটি ডলার বেশি এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।