প্রচ্ছদ » রাজনীতি » বিস্তারিত

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলো : জামায়াত আমির

২০২৫ জুন ০১ ২০:৫৮:২৪
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলো : জামায়াত আমির

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

রোববার (১ জুন) এক বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১ জুন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় আমরা মহান রবের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় জুড়ে আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আজ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এ রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হলো। আপিল বিভাগের এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮’এর পূর্বে ও পরে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণমূলক সব জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব ছিল।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সব প্রক্রিয়া মেনে যথারীতি নিবন্ধিত হয়। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ মহল ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা দায়ের করে।

হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন। জামায়াতে ইসলামী হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। আপিল বিভাগ আজ সর্বসম্মত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক দায়ের করা আপিলটি মঞ্জুর করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

তিনি বলেন, এ দীর্ঘ সময় জুড়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত বিজ্ঞ আইনজীবী ও সুধী-শুভাকাঙ্ক্ষী বিভিন্নভাবে আমাদের সহায়তা করেছেন, আমরা তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

জামায়াত আমির বলেন, আজকের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলো। আমরা আশা করছি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন মাত্রা লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।